ভারতীয় সময় মঙ্গলবার সকালে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসী গ্যাবার্ড জানিয়েছেন, মার্কিন প্রশাসনের তরফ থেকে তুলসীর বিদেশ সফর নিয়ে বিবৃতি জারি করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই তিনি জাপান, হনলুলু এবং ভারতে আসবেন। কিছুদিন আগেই তুলসী গ্যাবার্ডের সাথে শেখ হাসিনার বৈঠক নিয়ে কিছু কথা সমাজমাধ্যমে শোনা যাচ্ছিল। কথায় আছে, যাহা কিছু রটে তার কিছু না কিছু ঘটে; কাকতালীয়ভাবে এরপরেই তুলসী গ্যাবার্ডের ভারতে আসার সময়সূচী জানিয়ে দেয় মার্কিন প্রশাসন। তাহলে প্রশ্ন উঠছে শেখ হাসিনার সাথে কি মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসী গাবার্ডের কোন আলোচনা হতে চলেছে?
এই মাসেই বিবিসির একটি প্রতিবেদনে শেখ হাসিনাকে নিয়ে কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে! হাসিনার সাথে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, ভারতের ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজার অজিত ডোভাল প্রমূখ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও উচ্চ পদাধিকারীদের মিটিংয়ের তথ্য জানিয়েছিল ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা বিবিসি! বিবিসিকে এই তথ্য দিয়েছিল দিল্লিরই একজন সিনিয়র সাংবাদিক! এখন প্রশ্ন, দুদিন আগেই যে খবরটি ভাইরাল হয়েছিল অর্থাৎ শেখ হাসিনার সাথে তুলসী গ্যাবার্ডের বৈঠক – তার পেছনে কি সত্যিই কোন সত্যতা রয়েছে!
বিশ্লেষকদের দাবি, তুলসী গ্যাবার্ডের এই ভারত সফর নিয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীসরকার খুবই উদ্বিগ্ন! সরকারি সূত্রের খবর, তুলসীর সফরে ভারতের গোয়েন্দা কর্তারা বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের জঙ্গি তৎপরতার বিষয়ে মার্কিন গোয়েন্দা প্রধানকে অবহিত করবেন। প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে তার আলোচনাতেও এই বিষয়গুলি প্রাধান্য পেয়েছিল। কাশ্মীরে পাকিস্তানের জঙ্গি তৎপরতা চেনা বিপদ ভারতের কাছে। নতুন বিপদ বাংলাদেশ। সেখানে গত বছর গণঅভ্যুত্থানের পর পরিস্থিতির গুণগত পরিবর্তন হয়েছে। ইসলামিক জঙ্গিদের একাংশ জেল ভেঙে পালিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরছে! আর এখানেই উদ্বেগ তৈরি হয়েছে ভারত-আমেরিকা সহ বিশ্বের বড় বড় দেশের।
ইউনুস সরকার কেন পাকিস্তানপন্থী জঙ্গিদের খোলা ছেড়ে দিয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে অনেকেই। এক্ষেত্রে সরকারের কোন অংশ এই জঙ্গিগোষ্ঠীর সাথে যুক্ত! — এই ভাবনাটা নিশ্চিতভাবেই তুলসী গাভার্ডের সামনে উপস্থাপন করবে ভারত! হতে পারে এই সময় উপস্থিত থাকতে পারেন শেখ হাসিনা। কারণ বাংলাদেশের জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ দমনে শেখ হাসিনা একসময় জাতিসংঘের ভুয়ষি প্রশংসা পেয়েছিলেন! সন্ত্রাসবাদ দমনে শেখ হাসিনার পদক্ষেপকে জাতিসংঘের মহাসচিবও স্বাগত জানিয়েছিলেন, তাই স্বভাবতই যখন বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদ নিয়ে আলোচনা হবে সেখানে শেখ হাসিনার উপস্থিত থাকাটাই স্বাভাবিক! কারণ বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এটা স্পষ্ট হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলিতে ভারত শেখ হাসিনার সাথে মিটিং করে। এর সূত্র ধরেই বিশেষজ্ঞদের দাবি, শেখ হাসিনাকে সাথে নিয়েই বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের জঙ্গিবাদের তথ্য বর্তমান মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসী গ্যাবার্ডের কাছে তুলে ধরতে চাইছে ভারত সরকার!
0 মন্তব্যসমূহ