Today Date And Day

Breaking News:
Loading...

হাসিনার সঙ্গে বড়সড় বৈঠকের সম্ভাবনা আগস্ট মাসেই! কোন কোন দেশ এই বৈঠকে অংশ নেবে?



নিজস্ব প্রতিবেদন, ঢাকা : জানা গেছে গত কয়েকমাসে হাসিনার সঙ্গে যারা বৈঠকে বসেছেন তাদের মধ্যে অনেকেই ছিলেন বিদেশী। এবং সব থেকে বড় কথা তারা তাদের দেশের সরকারের অংশ। সে ক্ষেত্রে অনেকে বিদেশ দপ্তরের প্রতিনিধি হিসেবে হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন। অনেকে মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী হিসেবেও বৈঠকে বসেছেন। এবার সামনে আসছে আরো কিছু ভয়ঙ্কর তথ্য। 

এখনো পর্যন্ত হাসিনার টিকির খোঁজ পাইনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল। ইন্টারপোলের কাছে বারবার লাথি খেতে হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারকে!  শেখ হাসিনার নামে একাধিকবার রেড নোটিশ জারি করার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল। এবার ইউনুস সরকারের বিরুদ্ধে একত্রিত হতে চলেছে দক্ষিণ এশিয়ার বেশ কিছু শক্তিবর্গ‌। হাসিনার স্বার্থে গড়ে উঠছে একাধিক আঁতাত, যা নিশ্চিতভাবে ইউনূসের পতনের ঘন্টা বাজাতে চলেছে। 

সূত্রের খবর, হাসিনার বিরুদ্ধে ছয় মাসের কারাদণ্ড ঘোষণার পরেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আদালত অবমাননার অভিযোগে হাসিনাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, যেদিন হাসিনা বাংলাদেশে আসবেন বা যেদিন আত্মসমর্পণ করবেন সেদিন থেকেই তার সাজার মেয়াদ শুরু হবে। অর্থাৎ বিষয়টি বাংলাদেশের রাজনীতিতে হাসিনার প্রবেশকে বন্ধ করার উদ্যোগ হিসেবে দেখছে আন্তর্জাতিক মহল। 

লন্ডন ভিত্তিক* সংবাদ সংস্থা দাবি করেছে, শেখ হাসিনার সাথে দ্রুতই বড় মাপের বৈঠক হবে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর। যে বৈঠকের মূল বিষয় থাকবে, ইউনুস পরিচালিত বাংলাদেশের আইন ও শাসন ব্যবস্থার অবনতির বিষয়ে। কারণ ইতিপূর্বে হাসিনা বোনঝি টিউলিপের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করেছিল অন্তর্বর্তী সরকার। কিন্তু তদন্তে তা ভুল প্রমাণিত হতেই যুক্তরাজ্যের থেকে এমন সিদ্ধান্ত  নেওয়া হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে তাদের দাবি টিউলিপ এর মতই হাসিনার বিরুদ্ধে ভ্রান্ত ধারণা তথ্য অভিযোগ ছড়াচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। যার জন্যই তারা একত্রে এই ব্যবস্থা নিতে চলেছে।

ইতিপূর্বে একাধিক সূত্র মারফত জানা গেছে, শেখ হাসিনা অনলাইন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যক্তিদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন, জানা যাচ্ছে বিভিন্ন দেশের একাধিক ব্যক্তি যারা বিদেশমন্ত্রকের সাথে যুক্ত তাদের সাথে কথাবার্তা চলছে হাসিনার। ইউনুস সরকারকে উপড়ে ফেলতেই এই ধরনের আলোচনা বলে বিশ্লেষকরা দাবি করছেন। তার জন্যই হয়তো প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে ইউনুস অনুরোধ করেছিলেন* হাসিনার কাছ থেকে সমস্ত ধরনের ইলেকট্রনিক্স সরঞ্জাম যথা ল্যাপটপ মোবাইল ইত্যাদিকে সরিয়ে ফেলা হয়, এবং তিনি যেন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করতে না পারেন। 

আসলে যে গভীর পরিকল্পনার মাধ্যমে হাসিনা সরকারের পতন ঘটানো হয়েছিল তা বেশ কয়েক বছরের প্রচেষ্টা।  এই বিষয়টি বর্তমানে একাধিক দেশ স্বীকার করতে শুরু করেছে। তুরস্কের মত দেশ যারা সবসময় পাকিস্তানের সমর্থনে কথা বলে সেখানকার মন্ত্রীরাও বর্তমানে হাসিনার হয়ে কথা বলতে শুরু করেছে। কলকাতার আওয়ামী লীগের এক শীর্ষ পর্যায়ের নেতার দাবি, এই সমস্ত কিছুই সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার নিরলস প্রচেষ্টার জন্য। যদিও তিনি শেখ হাসিনার স্বাস্থ্য নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন, কারণ প্রতিনিয়তই শেখ হাসিনাকে বিভিন্ন দেশের মন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলতে হচ্ছে। 

সূত্রের খবর, এক্ষেত্রে একাধিক ডকুমেন্টসের সফট কপি একে অপরের মধ্যে আদান প্রদান করা হয় বলেও দাবি করা হয়েছে। অর্থাৎ সমস্ত ঘটনা এমনটাই যেন ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়লেও এখনো যেন প্রধানমন্ত্রী হিসেবেই রয়েছেন। এক্ষেত্রে সম্প্রতি বিদেশী প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনায় হাসিনার বিরুদ্ধে ছয় মাসের কারাদণ্ডের বিষয়টিও উঠে এসেছে। যার জন্যই তারা একত্রে উদ্বিগ্ন হয়েছেন। সেই সূত্রেই সম্ভবত এখন এই খবরটি সামনে আসছে যে হাসিনার কারাদন্ডের বিচারের প্রতি নারাজগী জ্ঞাপন করেছে বিশ্বের একাধিক ব্যক্তিবর্গ যারা সেই দেশের সরকারের অংশ। 


সুতরাং একটা বড় জনমত গঠন করতে সক্ষম হয়েছে শেখ হাসিনা বিভিন্ন দেশের মন্ত্রীরা এখন তাকে সাপোর্ট করতে শুরু করেছে! খেল ঘুরবে। 



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ