নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা :
ছোট হতে চলেছে বাংলাদেশের ম্যাপ! ইউনূসের জামানায় বাংলাদেশের সামরিক শক্তি হ্রাসের সুযোগ নিচ্ছে আরাকান আর্মি। কি কি অস্ত্র নিয়ে রয়েছে বিজিবি এবং কোথায় কোথায় তাদের চেকপোস্ট রয়েছে! এবার এসব গোপন তথ্যই জানতে চাইছে আরাকান আর্মি।
প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি এবার কক্সবাজার সীমান্ত আক্রমণ করতে চাইছে তারা? কেন মুক্তিপণের পরিবর্তে বাংলাদেশীদের কাছ থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরের তথ্য চাইলো আরাকান আর্মি?
প্রায় ১৭ দিন বন্দী রেখে ৫৬ জন বাংলাদেশি জেলের কাছ থেকে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড অর্থাৎ বিজিবির চেকপোস্ট ও বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্রের তথ্য চাইলো আরাকান আর্মি। কক্সবাজার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে কোথায় কোথায় বিজিবির চেকপোস্ট রয়েছে তা জানতে চেয়ে বাংলাদেশীদের মারধর করেছে তারা। বাংলাদেশ সংবাদ মাধ্যম ডেইলি-স্টারের সাংবাদিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই তথ্য দিয়েছেন ফিরে আসা মৎস্যজীবীরা!
শেখ হাসিনার আমলে বাংলাদেশের অখন্ডতা সুনিশ্চিত থাকলেও ইউনুসের আমলে এটা নিয়ে চরম অনিশ্চয়তা দেখা যাচ্ছে। দেশের আভ্যন্তরীণ বিশৃঙ্খলা বর্তমানে বিদেশি শক্তিদের ঐক্যবদ্ধ করছে বাংলাদেশ আক্রমণের জন্য। এবার এমনই এক পদক্ষেপের আভাস দিল আরাকান আর্মি। বাংলাদেশের অভ্যন্তরের সেনাবাহিনীর তথ্য চেয়ে বসল তারা! বিশেষত কক্সবাজার সীমান্তে কতগুলো চেকপোস্ট বসিয়েছে বাংলাদেশ তার তথ্য জানতে চাওয়া হলো! বিজিবি কিভাবে ডিউটি করে? কখন তারা সীমান্তে টহল দেয়? ধৃত বাংলাদেশিদের কাছ থেকে এসব তথ্যই জানতে চেয়েছিল আরাকান আর্মি।
এক্ষেত্রে আরাকান আর্মির এই পদক্ষেপে আশ্চর্য হয়েছেন মৎস্যজীবীরাও। তাদের দাবি, কোন ধরনের অর্থ চাইনি আরাকান আর্মি বরং তাদের কাছ থেকে নিয়ে নেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের সমস্ত খবরাখবর। এখন প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি আরাকান আর্মি এইসব তথ্য নিয়ে নিজেদেরকে প্রস্তুত করতে চাইছে? ভবিষ্যতে টেকনাফ উপজেলাকেও রাখাইনের মত নিজেদের কব্জায় আনতে চাইছে?
বিশেষজ্ঞদের দাবি, আরাকান আর্মি বাংলাদেশ নিয়ে গভীর পরিকল্পনা করছে! এক্ষেত্রে অনেক মৎস্যজীবীদের বলেছিলেন আরাকান আর্মির অনেক সদস্যদের পরিবারবর্গ মূলত কক্সবাজার অঞ্চলেই বসবাস করেন। যার জন্যই বাংলাদেশের কক্সবাজার বা টেকনাফ উপজেলাকে নিজেদের অধিকারে আনতে চাইছে তারা।
0 মন্তব্যসমূহ